কীভাবে হারাচ্ছে সাকরাইনের ঐতিহ্য?
🎯 ঘুড়ি বানানোর শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে: আগে মানুষ নিজের হাতে ঘুড়ি বানাত, সুতা মাঞ্জা দিত। এখন সবই বাজার থেকে কেনা, আর সেই আনন্দের জায়গা নিয়েছে ডিজে পার্টি।
🔊 উচ্চ শব্দে গান ও ডিজে: উৎসবের নামে চলছে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স, যা শিশু, বৃদ্ধ ও পশুপাখির জন্য ক্ষতিকর।
💥 আতশবাজির ঝুঁকি: সন্ধ্যায় আতশবাজি ও আগুন নিয়ে খেলা এখন নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
🍷 নেশাদ্রব্য ও অসামাজিক কার্যকলাপ: কিছু এলাকায় সাকরাইনের নামে নেশা ও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে, যা উৎসবের সৌন্দর্য নষ্ট করছে।
পুরান ঢাকার বাসিন্দারা বলছেন, “আমরা ছোটবেলা থেকে সাকরাইন করে আসছি, এটা আমাদের গর্ব। আগে ঘুড়ি নিজেরা বানাতাম, সেটা ছিল অন্যরকম আনন্দ। এখন ছেলেমেয়েরা এর কিছুই জানে না”।
🏡 ঐতিহ্য রক্ষায় কী করা যেতে পারে?
✅ স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ: যেমন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ডে ঘুড়ি উৎসব আয়োজন করছে
✅ শিক্ষা ও সচেতনতা: নতুন প্রজন্মকে সাকরাইনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি শেখানো
✅ নিয়ন্ত্রিত আয়োজন: ডিজে, আতশবাজি ও অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে নিয়মিত নজরদারি
✅ স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণ: ঘুড়ি বানানো, পিঠা তৈরি, আগুন খেলা—সবকিছু যেন স্থানীয় শিল্পীদের মাধ্যমে হয়
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন